বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে টানা ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন জেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টি কম হওয়ায় উন্নতির দিকে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল। কক্সবাজার শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার সড়ক-উপসড়কে ক্ষতির চিহ্ন ভেসে উঠছে। আজ শনিবার সকালের দিকে শহরের সমিতিপাড়া সমুদ্রপয়েন্ট থেকে ভেসে আসা আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে পাহাড়ধস ও ট্রলার ডুবে এই পর্যন্ত রোহিঙ্গা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা, বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগরে এখনও ৩নং সতর্কসংকেদ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, টানা তিনদিনের ভারি বৃষ্টির কারণে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। আজ শনিবার শহরের জলবদ্ধতায় জমে থাকা পানি নেমে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছিল অন্তত ২০ হাজার পর্যটক। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার সদর, রামু, উখিয়া, চকরিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে।
অপরদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর এখনও উত্তাল রয়ছে। গত শুক্রবার সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজার উপকূলে ৬ টি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার আব্দুল নুর মাঝি (৪৭) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৩ জেলের মরদেহ সহ পাহাড়ধসে রোহিঙ্গা সহ মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯জনে।
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ‘ভারি বর্ষণে কক্সবাজার জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। সম্পূর্ণ পানি নেমে গেলে তা নিরূপন করা সম্ভব হবে। তবে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৩শ পরিবার ছিল। পানি কমে যাওয়ায় আজ সকালে তারা বাড়ি ফিরেছে। এবারে ভারিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের ৪৫ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে আরো অনুদান দেয়া হবে’।
ভয়েস/আআ